মানসিক চাপ থেকে বাঁচার ৭ উপায়

 



মানসিক চাপ কমাতে নানান পন্থা অবলম্বন করা হলেও, জেনে রাখা ভালো যে সব মানসিক চাপ খারাপ নয়।

অনেক সময় মানসিক চাপ থেকে ভালো কিছুও হয়।

সেটা হতে পারে দুর্ঘটনা ঘটার আগ মুহূর্তে গাড়িরে ব্রেক কষা অথবা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কোনো প্রেজেন্টেইশন’য়ের কাজ শেষ করে ফেলা”- এভাবেই উদাহরণ দেন স্নায়ু ও সুস্থতা বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ ডোর্সি স্ট্যান্ডিশ।


ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের স্বাস্থ্যকর মানসিক চাপকে বলে ‘ইউস্ট্রেস’, যা আমাদের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিয়ে কার্য সম্পাদনে উৎসাহ দেয়।”

অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর মানসিক চাপ, দীর্ঘমেয়াদে থাকে। ফলে দেখা দেয় বিষ্ণণ্নতা ও তিক্ততা।

দীর্ঘমেয়াদে চাপে ভোগার কারণে দেহের প্রধান কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- মানসিক সমস্যা”- বলেন স্ট্যান্ডিশ।


তাই এই ধরনের মানসিক চাপ কাটানোর প্রধান চাবিকাঠি হল- শক্তিশালী ইতিবাচক মানসিক চাপকে কাজে লাগি লক্ষ্য আর্জনের উদ্দেশ্যে নেতিবাচক চাপগুলোকে কমানো।


গভীর নিঃশ্বাস নেওয়া

মানসিক চাপে থাকলে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।


স্ট্যান্ডিশ বলেন, “এমনকি ইচ্ছেকৃতভাবে একবার গভীর শ্বাস প্রশ্বাস ছাড়তে পারলে চাপ অনেকটাই কমে, স্নায়ু বিশ্রাম পায়।”


এই ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতি হল, নাঁক দিয়ে পরপর দুবার বড় করে শ্বাস টানা তারপর মুখ দিয়ে পুরো বাতাস বের করে দেওয়া।


বর্তমানে কী আছে সেটা অনুধাবন করা

যখন অস্বাস্থ্যকর চাপ অনুভূত হবে তখন গুরুত্বপূর্ণ হল, বর্তমানটাকে অনুধাবন করা। এর মধ্যে চলতি মানসিক চাপটাকেও ধরতে হবে।


স্ট্যান্ডিশ পরামর্শ দেন, “চাপকে বরং ‘হ্যালো’ বলুন আর স্বাগতম জানান। এর ফলে মস্তিষ্কের যৌক্তিক অংশ চাপ ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে।”


নড়াচড়া করা


যেকোনো প্রকার শারীরিক নড়াচড়া করা হল, দ্রুত সময়ে মানসিক চাপ কমানোর একটি পন্থা।

হাসি


সবচেয়ে সহজে মানসিক চাপ উড়িয়ে দেওয়ার উপায় হল ‘হাসি’।


এরজন্য দেখতে পারেন ছোট কোনো মজার ভিডিও, কৌতুক আর হাসুন মন খুলে। এতে মস্তিষ্ক সংকেত পায় যে, আপনি নিরাপদ আছেন- পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিশ।

ডিজিটাল জগত থেকে পাঁচ মিনিটের বিরতি


প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমাদের জীবন যেমন সহজ করেছে তেমনি মোবাইল ল্যাপটপের মতো যন্ত্রগুলো মানসিক চাপের কারণ হয়েও দাঁড়ায়।


তাই দিনে অন্তত পাঁচ মিনিট এসব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন স্ট্যান্ডিশ, তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’।


মন্তব্যসমূহ