বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন ফজলে রাব্বি

বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন ফজলে রাব্বি// ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

তরুণ উদ্ভাবনের নতুন প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছেন ফজলে রাব্বি। সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিকস প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বে Environmental Science and Sustainability ক্যাটাগরিতে তিনি অর্জন করেছেন সিলভার মেডেল। এই অর্জন তাকে নিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আয়োজনে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণ গবেষকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।


বাংলাদেশ ইয়াং সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইনোভেটরস সোসাইটি বাইসিস আয়োজন করে World Youth STEM Invention Innovation National Round। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শতাধিক দল। প্রতিযোগিতার ভিড়ে ScriptySphere এর হয়ে অংশ নেওয়া ফজলে রাব্বি গবেষণাভিত্তিক উপস্থাপনায় বিচারকদের বিশেষ দৃষ্টি কাড়েন।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। ইজিলিশ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক সোলাইমার্ন লেখেম এবং থিওয়ারা চিতজুই ছিলেন বিশেষ অতিথি। আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ কাউসার উদ্দিন ব্যাপনের সিইও ডা রিফাত মাহবুব এবং নাবাটেক ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা নাদিমুল হক জুলাস। পুরো আয়োজন পরিচালনা করেন বাইসিসের প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেন।


ফজলে রাব্বি বলেন সিলভার মেডেল আমার জন্য শুধু একটি পুরস্কার নয় বরং ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা বহন করা সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল এখন তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। দেশের তরুণরা যদি বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে আরও সাহসী হয় তাহলে আমরা সবাই মিলে বিশ্বমঞ্চে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারব।


তার শিক্ষক এবং সহকর্মীরা জানান ফজলে রাব্বি শৈশব থেকেই প্রযুক্তি গবেষণা এবং পরিবেশভিত্তিক সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। নিয়মিত চর্চা এবং দৃঢ় লক্ষ্য তাকে আজকের এই অর্জনের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পর্বেও তিনি বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবেন।


জাতীয় পর্বে সিলভার জয় তাকে শুধু সম্মানই দেয়নি বরং প্রমাণ করেছে যে প্রতিশ্রুতি ও অধ্যবসায় থাকলে দেশের একজন তরুণও বিশ্বমঞ্চে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে। এই সাফল্য নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা গবেষণা এবং উদ্ভাবনে আরও উৎসাহী করবে।




মন্তব্যসমূহ