নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর অন্য উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
এই নতুন সরকারের কাছে কি আশা করছে শিক্ষার্থীরা, চলুন জেনে নেই।
ফাতেমা যোহরা অপি জানায়, দীর্ঘকাল বাংলাদেশে স্বৈরশাসন চালু থাকায় বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ। পুলিশ থেকে শুরু করে সকল আইন-শৃঙ্খলা বিভাগের সাথে যারা জড়িত দুর্নীতির কারণে তাদের মধ্যে অনেক অনিয়ম দেখা যায়। অনেকেই ঘুষ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অনিয়ম করে থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এই দূর্নীতিকে নিরসন করতে হবে। আমরা চাই সরকার যেন সময় নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা থেকেই দুর্নীতির বিষয়টাকে আলাদা করে। পুলিশ, ব্যাটালিয়ান সহ সকল ধরনের বিভাগেই প্রধানমন্ত্রী প্রধান। এরা স্বতন্ত্র না থাকায় এদের উপরে রাজনৈতিক চাপ পড়তে পারে। এদের যদি স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তবে এই দূর্নীতি নিরসন হবে বলে আশা করি।
হাসনা হেনা জানায়, বর্তমান বাংলাদেশের সরকারের কাছে আশা রাখছি, তিনি যেন আমাদের গ্রাম গঞ্জের দিকে একটু নজর দেন। আমরা দেখতে পাই, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন এখনো তেমনভাবে হয় নি। এছাড়াও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে।
শারমিন আক্তার জানায়, আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত। মাত্র ২ % বিনিয়োগ হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে উপর যেটা খুবই কম তাছাড়াও ২০২৩ সালে যে নতুন কারিকুলামটি তৈরি করা হয়েছে সেটাও বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন না। এটিকে সৃজনশীলতা বলে প্রকাশিত হল এটিতে কপিরাইট কন্টেন্ট থাকায় এটিকে সৃজনশীলতা ভাবা বোকামি। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণাগার বাড়ানো উচিত। গবেষণাগারের অভাবে অনেকে প্র্যাকটিস করতে পারে না এবং বুদ্ধির বিকাশ হয় না। এছাড়াও গ্রামে গণশিক্ষা তেমনভাবে বিকশিত হতে পারেনি এজন্য আমাদের সরকারের উচিত এই দিকে নজর দাও। আমাদের দেশে বাংলা ভাষার উপর গবেষণা একপ্রকার হয় না, এজন্য এর উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
মন্তব্যসমূহ